- পরিচিতি
- আদর্শ
- লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- কর্মপরিধি
- আয়ের উৎস
- ব্যয়ের নীতিমালা
নাসীহা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত শিক্ষা, গবেষণা ও মানবসেবায় নিয়োজিত একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। নিবন্ধন নং- এস-১৪০৪৫/২০২৩।
কুরআনুল কারীম ও রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সুন্নাহই আমাদের মূল আদর্শ। কুরআন সুন্নাহর আলোকে শিরকমুক্ত ঈমান ও বিদ’আতমুক্ত আমলের প্রতি নাসীহা ফাউন্ডেশন আহবান করে থাকে।
নাসীহা শব্দটির অর্থ ‘কল্যাণ কামনা করা’। অনুরুপভাবে নাসীহা ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য হলো মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া। আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহর নিকট প্রিয়তম লোক হল সেই ব্যক্তি যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশী উপকারী।“ (সিলসিলাহ সহীহাহ ৯০৬)
আমাদের কার্যক্রমগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- শিক্ষা, চিকিৎসা ও অন্যান্য
ক) শিক্ষা
১) সমাজের সর্বস্তরের সকল বয়সের নারী-পুরুষের জন্যে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করা। ঢাকা সহ সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চতর পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা।
২) শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘টিচার্স ট্রেনিং একাডেমি’ প্রতিষ্ঠা করা।
৩) ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্যে সফট স্কিল ডেভলপমেন্ট এর ব্যবস্থা করা, যেনো তাঁরা সমাজ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন।
৪) ইয়াতীম ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ও আত্মনির্ভরশীল হয়ে গড়ে ওঠার ব্যবস্থা করা।
৫) আর্থিকভাবে অসচ্ছল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে বৃত্তি ও ফেলোশিপ এর ব্যবস্থা করা।
৬) ইসলামি ও পার্থিব উপকারি জ্ঞানের প্রসারে বই, বুকলেট, সাময়িকী ইত্যাদি রচনা, সংকলন ও বিতরণের লক্ষ্যে প্রেস ও পাবলিকেশন স্থাপন করা।
৭) কিশোর কিশোরীসহ সকল বয়সীদের ইলেকট্রনিক ডিভাইস আসক্তি হ্রাসে কাজ করা এবং পাঠাগার স্থাপনের মাধ্যমে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা।
৮) বেকার যুবসমাজকে বিভিন্ন স্কিল ডেভলপমেন্ট কোর্সের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা।
৯) সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা।
খ) চিকিৎসা
১) কমিউনিটি ক্লিনিক, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল শ্রেণির মানুষের জন্যে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এছাড়া সাধারণ জনগণের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক প্রোগ্রাম আয়োজন করা।
২) নিরাপদ প্রসব, প্রসব পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পরিচর্যা নিয়ে সমাজে সচেতনতা তৈরি করা।
৩) শিশু স্বাস্থ্য, শিশুর পুষ্টি, শিশুর শারীরিক ও মানসিক পরিচর্যা বিষয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করা।
গ) অন্যান্য সেবা
১) প্রান্তিক অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২) সমাজের প্রবীন নাগরিকদের জন্যে ইসলাম শিক্ষা, সুস্থ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৩) মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে নানা রকম সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা। মাদকাসক্তি নিরাময়ে পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন সহ নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহন করা।
৪) প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারীতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা।
৫) মসজিদ স্থাপন, উন্নয়ন ও সংষ্কার করার মাধ্যমে সমাজে প্রকৃত ইসলামী মূল্যবোধের প্রসার ঘটানো।
৬) সমসাময়িক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও ইস্যু নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করা।
৭) দেশের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে নিরাপদ ও সুপেয় পানি নিশ্চিত করা।
৮) গৃহহীন মানুষদের জন্যে মানসম্মত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।
১) নাসীহা ফাউন্ডেশন আয়ের সকল হিসাব সূক্ষ্মভাবে সংরক্ষণ রাখতে বদ্ধ পরিকর।
২) ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের দানের অর্থ ও তহবিল দিয়ে।
৩) যাকাত ও সাদাকাহ থেকে প্রাপ্ত অনুদান।
৪) সদস্য, শুভাকাঙ্ক্ষীদের এককালীন ও নিয়মিত অনুদান।
৫) আইনত বৈধ যেকোনো প্রকল্প থেকে অর্জিত আয়।
৬) জনসাধারণ কর্তৃক বিশেষ কোনো খাতে প্রদত্ত অনুদান।
৭) সরকারি বা বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত অনুদান ও অর্থ সহায়তা।
৮) সরকারি বিধি মোতাবেক বিদেশী দাতাগনের নিকট থেকে প্রাপ্ত অনুদান।
১) নাসীহা ফাউন্ডেশন ব্যয়ের সকল হিসাব সূক্ষ্মভাবে সংরক্ষণ রাখতে বদ্ধ পরিকর।
২) দাতাগণ যে খাতের জন্য দান করে থাকেন, সে খাতেই ব্যয় করা হয়। এক খাতের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করা হয় না।
৩) যাকাত তহবিলে সংগৃহীত অর্থের শতভাগ প্রকৃত হকদারদের প্রয়োজন পূরণে ব্যবহৃত হয়।
৪) প্রতিটি প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পর আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব সংরক্ষণ করা হয়।
৫) বছরে একবার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট দ্বারা ফাউন্ডেশনের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষণ করা হবে ইন-শা-আল্লাহ।